বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড শিক্ষা মন্ত্রণালয় নিয়ন্ত্রণাধীন একটি ‘সংবিধিবদ্ধ’ প্রতিষ্ঠান। ঢাকার পলাশীতে বাংলাদেশ শিক্ষা তথ্য পরিসংখ্যান ব্যুরো(ব্যানবেইস) এর নীচতলায় মাত্র ৫টি কক্ষ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হচ্ছে। এমপিওভুক্ত বেসরকারি শিক্ষক-কর্মচারীদের পেনশনের আওতায় আনার জন্য ২০০২ সনের ২৭ নং আইনের ধারা ১৫ তে প্রদত্ত ক্ষমতা বলে “বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক ও কর্মচারী অবসর সুবিধা বোর্ড’’ প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রবিধানমালা-২০০৫ এর উপ-প্রবিধান-১০(১) অনুযায়ী এমপিওভূক্ত অবসরপ্রাপ্ত বেসরকারি শিক্ষক ও কর্মচারীদের অবসরকালীন সময়ের অবসর সুবিধা প্রদান বর্তমানে চালু আছে। প্রবিধান-১০এর(৪) অনুযায়ী ১লা জানুয়ারী ১৯৮০সাল থেকে ও প্রবিধান-১০এর(৭) মোতাবেক ২৫বছর এমপিওভূক্ত চাকুরী গনণা করে সর্বশেষ বেতন স্কেল অনুযায়ী প্রাপ্যতা নির্ধারণ করে অবসর সুবিধা প্রদান করা হয়।
মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর, মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তর এবং কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তর এর অধীনে এমপিওভূক্ত বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ও ভকেশনাল ইনস্টিটিউটসমূহের এমপিওভূক্ত শিক্ষক-কর্মচরীদের অবসর সুবিধা প্রদানের কার্যক্রম এই বোর্ডের আওতাভূক্ত। প্রায় ৩৬(ছত্রিশ) হাজার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রায় সাড়ে ৫(পাঁচ) লক্ষ শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে ৬% হারে চাঁদা কর্তন করে অবসরপ্রাপ্তদের সুবিধাদি প্রদান করা হচ্ছে।
প্রবিধান-১০ এর উপ-প্রবিধান(১) চাঁদা প্রদানকারী কোন শিক্ষক বা কর্মচারীগণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের চাকুরী হইতে অবসর গ্রহণ করলে তিনি এমপিওভুক্ত হইবার পর যত বৎসর শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করেছেন তার ভিত্তিতে এককালীন আর্থিক সুবিধাদি প্রাপ্য হন, শিক্ষক-কর্মচারীদের থেকে চাঁদা কর্তন করা হয় ০১/০১/২০০৫ সাল থেকে কিন্তু সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে ০১/০১/১৯৮০ সাল থেকে।